করিমগঞ্জ নিউজ :
গুনধর

অটোরিকশা নিয়ে বের হয়েই খুন হন, ইন্দাচুল্লী গ্রামের শরীফ

শরীফ মিয়া (২৩) নামের এক চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকালে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ-নিকলী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সড়কের বানিয়াচান সেতুর নিচ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। শরীফ উপজেলার গুণধর ইউনিয়নের ইন্দাচুল্লী গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে।

শরীফের ভগ্নিপতি আক্কাস মিয়া বলেন, রোববার দুপুরে শরীফ জেলা সদরের লতিবাবাদ এলাকা থেকে একটি অটোরিকশা কেনেন। বাড়িতে এসে রিকশাটি নিয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় করিমগঞ্জের খয়রতের মোড় থেকে প্রথম যাত্রী নিয়ে আবদুল হামিদ সড়কে বের হন। এরপর রাতে আর বাড়ি ফেরেননি শরীফ। সারা রাত খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাননি পরিবারের লোকজন। আজ সকালে পাওয়া যায় তাঁর লাশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে সেতুর নিচে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় ব্যক্তিরা থানায় খবর দেন। পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে শরীফের লাশ শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁর লাশ উদ্ধার করে। তাঁর মাথা থেঁতলানো, শরীর কাদামাখা, পরনের শার্ট ও মুঠোফোন পাশে পড়ে ছিল। তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নিতেই তাঁকে দুর্বৃত্তরা ইট বা পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করেছে।

শরীফের বড় ভাই কালাচান বলেন, ‘আমার ভাই ইটভাটায় কাজ করতেন। সেখান থেকে চলে এসে আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে টাকা ধারকর্জ করে অটোরিকশাটি কিনেছিল। সোমবার সেই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য ব্র্যাক থেকে ঋণ ওঠানোরও কথা ছিল। কিন্তু নতুন কেনা রিকশাটি নিয়ে বের হতে না হতেই আমার ভাই খুন হলো। এক বছর আগে সে বিয়ে করেছে। তার স্ত্রী এখন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ভাইয়ের হত্যাকারীদের বিচার চাই।’

করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামছুল আলম সিদ্দিকী জানান, নিহত ভ্যক্তির মাথা থেঁতলানো ছিল। যাত্রীবেশী দুর্বৃত্তরা শরীফকে হত্যা করে অটোরিকশাটি নিয়ে গেছে বলে ধারণা পুলিশের। লাশ কিশোরগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ওসি জানান।