করিমগঞ্জ নিউজ :
করিমগঞ্জরাজনৈতিক খবর

বাবলুই তৃণমূলের পরীক্ষিত মাঝি ?

আব্দুল জলিল: কিশোরগঞ্জ- ৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মোঃ আমিরুল ইসলাম খান বাবল বলেন, জীবনে যারা আওয়ামী লীগ করে নাই, এমনকি আওয়ামী লীগের কর্মীও না তারাও আজ নৌকার প্রার্থী। প্রায় দুই যুগ ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা কি, ত্যাগী নেতারা কি অবস্থায় আছেন, তার কোনো খোঁজ নেই, আর নির্বাচন এলেই উনারা ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে গাছে ঝুলেন।

গত শনিবার বিকেলে করিমগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তিনি আরো বলেন, ২২ বছর যাবত উপজেলা আওয়ামী লীগের উপর একটি জবরদস্ত পাথর চেপে আছে। বিগত ২২ বছরে সম্মেলন তো দূরের কথা তিনি একটি কর্মী সমাবেশও করেনি। উপরন্তু টাকার বিনিময়ে পকেট কমিটি করে সেই কমিটিতে বিএনপি-জামাত-শিবির ও হাইব্রিডদের স্থান দিয়েছে‌।

করিমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মী সভায় সভাপতিত্ব করেন করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী।

সভায় উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার সভাপতি-সম্পাদক এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীদের সরব উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

কর্মী সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ওমর ফারুক তালুকদার, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ ওয়াহাব, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জিল মোল্লা, কিরাটন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম রেনু, জাফরাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম, সুতারপারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ হারুন অর রশিদ, নিয়ামতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, বারঘরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ বুলবুল আহমেদ, কাদির জঙ্গল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল আমিন লিটন, নোয়াবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, জাফরাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন কবির, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুল মতিন বাবলু, দেহুন্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি খায়রুল ইসলাম উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা গাজী শেখ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম, উপজেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দিন প্রমুখ ৷

অনুষ্ঠানে তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ ৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনের এমপি হিসেবে মোঃ আমিরুল ইসলাম বাবলুকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট জোর দাবি জানান ৷

জানা যায়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে এমপি পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে নির্বাচনী মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য আমিরুল ইসলাম খান বাবলু।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এ নেতার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, এ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে ধারাবাহিক গণসংযোগের পাশাপাশি ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে মনোনয়ন পেতে মাঠের রাজনীতিতে তার সক্ষমতা তুলে ধরছেন।

বিগত সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই রাজনৈতিক মাঠে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তার সরব ভূমিকা লক্ষ্য করা গেছে। করিমগঞ্জ-তাড়াইলে আওয়ামী লীগের প্রতিটি কর্মসূচিতে দলীয় নেতা কর্মীসহ তার সরব উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। এছাড়াও বিগত স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে নৌকার প্রার্থীদের পক্ষে গণসংযোগসহ বিজয়ী হওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে মনোনয়ন প্রত্যাশী এ নেতার।

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী আমিরুল ইসলাম খান বাবলুর বিকল্প নাই উল্লেখ করে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মোঃ ওমর ফারুক তালুকদার বলেন, বিগত এক দশক ধরে করিমগঞ্জ-তাড়াইলের আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা কর্মীদের নিয়ে রাজনৈতিক মাঠে রয়েছেন তিনি। প্রতিটি নেতা-কর্মীর সুখ-দুঃখে আস্থার প্রতীক হিসেবে পাশে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টানা দেড় দশকের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও স্মার্ট বাংলাদেশের দৃঢ় প্রত্যাশার কথা বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের সামনে তুলে ধরছেন তিনি। আওয়ামী লীগের দলীয় হাই-কমান্ড আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে বাবলুর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঠিক মূল্যায়ন করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

আহবায়ক কমিটির আরেক সদস্য জিল্লুর রহমান ঠাকুর বলেন, জাতীয় রাজনীতির গেরাকলে পড়ে এ আসনটি আওয়ামী লীগের হাতছাড়া হয়েছে। ফলে টানা ৩ মেয়াদে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এডভোকেট মুজিবুর হক চুন্নু’র দখলে রয়েছে আসনটি। জাপার দখলীয় বলয় থেকে এই আসনটি উদ্ধার করতে  আমিরুল ইসলাম খান বাবলুর বিকল্প নেই।