করিমগঞ্জ নিউজ :
করিমগঞ্জ

করিমগঞ্জ মডেল মসজিদ এর উদ্বোধন

আজ সকাল দশটায় গণভবন থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্স-যোগে উদ্বোধন করা হলো করিমগঞ্জ মডেল মসজিদ। করিমগঞ্জ পৌরসভার আনন্দ বাজার এলাকায় এর অবস্থান।

স্থানীয় পর্যায়ে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন করিমগঞ্জের স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, আলেম ওলামা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। গণভবন থেকে সরাসরি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসাথে সারাদেশে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জানা যায়, দেশের প্রতিটি জেলায় ও উপজেলায় এমন মডেল মসজিদ স্থাপন করতে ২০১৭ সালে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেয় সরকার। ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক (২য় সংশোধিত) প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত থাকবে। এরই মধ্যে ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রথম পর্যায়ে, ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ে, ২০২৩ সালের ১৬ মার্চে তৃতীয় পর্যায়ে এবং গত ১৭ এপ্রিল চতুর্থ পর্যায়ে ৫০টি করে মোট ২০০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে।

ছবিঃ মডেল মসজিদ উদ্বোধন।

প্রতিটি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ৪৩ শতাংশ জমির ওপর তিন ক্যাটাগরিতে নির্মিত হচ্ছে। এরমধ্যে জেলা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে চারতলা, উপজেলা পর্যায়ে তিনতলা এবং উপকূলীয় এলাকায় চারতলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানা যায়।

এ-ক্যাটাগরিতে ৬৪টি জেলা শহর ও ৩টি সিটি করপোরেশনে ৫টিসহ মোট ৬৯টি চারতলা বিশিষ্ঠ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। বি-ক্যাটাগরিতে উপজেলা পর্যায়ে ৪৭৯টি (নবগঠিত ৪টি উপজেলাসহ) নির্মিত হচ্ছে। আর সি-ক্যাটাগরিতে উপকূলীয় এলাকায় চারতলা বিশিষ্ট (নিচতলা ফাঁকা থাকবে) ১৬টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে।


চারতলাবিশিষ্ট প্রতিটি মসজিদে একসঙ্গে এক হাজার ২০০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। অন্যদিকে তিনতলাবিশিষ্ট মডেল মসজিদগুলোয় একত্রে ৯০০ জন মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে।


সরেজমিনে দেখা যায়, মসজিদ কমপ্লেক্স এর কাজ শতভাগ এখনো শেষ হয় নি। কিছু কাজ এখনো চলমান। করিমগঞ্জ মডেল মসজিদে নারী ও পুরুষদের জন্য পৃথক অজু ও নামাজ কক্ষ, ইমাম প্রশিক্ষণকেন্দ্র, হেফজখানা, গণশিক্ষা কেন্দ্র, গবেষণাকেন্দ্র, পাঠাগার, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, জানাজার ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের নিবন্ধন, লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, ই-কর্নার, বিদেশি পর্যটকদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া ইমাম-মুয়াজ্জিনের থাকার ব্যবস্থাসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে।

খুব শীঘ্রই সাধারণ মুসল্লীদের জন্য মুসজিদ খুলে দেওয়া হবে।