করিমগঞ্জ নিউজ :
কাদিরজঙ্গল

পিটুয়ায় ধর্ষণের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়া এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় শফিকুল ইসলাম (৩৪) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে তাঁকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

কারাদণ্ড পাওয়া শফিকুল ইসলাম করিমগঞ্জ উপজেলার পিটুয়া গ্রামের দ্বীন ইসলামের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এম এ আফজল রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সরকারি কৌঁসুলি এম এ আফজল করিমগঞ্জ নিউজ’কে বলেন, শফিকুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০-এর–৭ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং একই আইনের ৯(১) ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এম এ আফজল আরও বলেন, জরিমানার অর্থ ভুক্তভোগীর ক্ষতিপূরণ হিসেবে গণ্য হবে। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বা তাঁর বিদ্যমান সম্পত্তি থেকে জরিমানার অর্থ আদায় করা সম্ভব না হলে ভবিষ্যতে তিনি যে সম্পদের মালিক বা অধিকারী হবেন, সেই সম্পদ থেকে বিধি অনুযায়ী আদায়যোগ্য হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পঞ্চম শ্রেণিপড়ুয়া ১১ বছর বয়সী এক শিশুকে প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিতেন শফিকুল ইসলাম। কিন্তু বিষয়টি এড়িয়ে চলত শিশুটি। ২০২১ সালের ২০ আগস্ট রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হয় সে। ল্যাট্রিন থেকে বের হওয়ার পর শফিকুল ওই শিশুর মুখ চেপে ধরে একটি ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ল্যাট্রিন থেকে তার ফিরতে দেরি দেখে স্বজনেরা তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে কান্নার শব্দ পেয়ে এগিয়ে গেলে তাকে ঝোপে পড়ে থাকতে দেখেন স্বজনেরা। এ সময় শফিকুলকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

এ ঘটনার পরদিন শিশুটির মা বাদী হয়ে শফিকুলকে একমাত্র আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় ধর্ষণের একটি মামলা করেন। করিমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিসুজ্জামান মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ১৯ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। শুনানি শেষে আজ আদালত রায় ঘোষণা করেন।